বুড়িগঙ্গা নিউজ ডেস্ক : অসংখ্য তরমুজ পড়ে আছে সড়কের পাশে। এর মধ্যে কোনটায় পচন ধরেছে, আবার কোনটা আছে ভালো। নি¤œ আয়ের পরিবারের শিশুরা এখান থেকে ভালো তরমুজ খুঁজছেন। তাদের পাশেই তরমুজ খাচ্ছে মহিষের দল। এমন চিত্র চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন ফিরিঙ্গি বাজারের পাশে। এখানে মূল সড়কের ওপর পড়ে আছে হাজার-হাজার তরমুজ।
ফিরিঙ্গি বাজার এলাকায় অবস্থিত শাহ মোহছেন আউলিয়া ফার্মের মালিক এয়াকুব সওদাগর জানান, চলতি বছর দেশে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। তরমুজ আড়তে আনা হয়েছে বেশি। সে অনুযায়ী বিক্রি কম হওয়ায় কিছু তরমুজ পচে গেছে। নষ্ট হওয়া তরমুজগুলো সড়কের পাশে রাখা হয়েছে। যাতে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের নিয়ে যেতে সুবিধা হয়।
তিনি আরও জানান, ফলন ভালো হওয়ায় দামও কমেছে। বড় সাইজের তরমুজ আগে ১০০ পিস ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। বর্তমানে তা ১২ থেকে ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। যেগুলো ১০০ পিস ২০ থেকে ২২ হাজার টাকায় বিক্রি করা হতো, সেগুলো এখন ১০ হাজার টাকা থেকে আট হাজার টাকা এবং যেগুলো ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছিল, সেগুলো এখন তিন থেকে চার হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। খবর বাংলাট্রিবিউন।
এ ব্যবসায়ী আরও জানান, চট্টগ্রামে দুটি আড়ত ফিরিঙ্গি বাজার এবং ফলমন্ডুতে প্রতিদিন ২০০ ট্রাকের বেশি তরমুজ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিক্রির জন্য আনা হয়। এই দুই পাইকারি বাজার থেকে চট্টগ্রাম নগরী এবং ১৫ উপজেলা ছাড়াও কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি জেলার খুচরা ব্যবসায়ীরা ট্রাকে করে বিক্রির জন্য নিয়ে যান।
ফিরিঙ্গি বাজার ফল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘প্রতিটি আড়ত তরমুজে ভরপুর। অনেক আড়তে তরমুজ রাখার জন্য পর্যাপ্ত স্থান নেই। ফলে দোকানের বাইরেও তরমুজ স্তূপ করে রাখা হয়েছে। তরমুজ যেভাবে আনা হচ্ছে সে অনুযায়ী বিক্রি কিছুটা কমেছে। বেশিদিন থাকলে তরমুজ নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে নষ্ট হওয়া তরমুজগুলো ফেলে দিতে হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেই চট্টগ্রামে তরমুজ আনা হয়। এবার সবচেয়ে বেশি তরমুজ আনা হচ্ছে নোয়াখালী, বরিশাল, ভোলা জেলা থেকে। তবে চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি এবং রাঙামাটিতেও এবার তরমুজের ভালো ফলন হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :