বুড়িগঙ্গা নিউজ ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল তীব্র গরমে পুড়ছে। মানুষের জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। আর এ সময় ধারাবাহিকভাবে বৃষ্টি হচ্ছে পবিত্র ভূমি মক্কা ও মদীনায়। চলছে রমজান মাস, আর এই মাসে এই দুই নগরীতে বিশ্বে লাখ লাখ মুসলিম ভীড় করেন।
মুসল্লিদের প্রচণ্ড ভীড় আর গরমে যখন হাঁসফাঁস অবস্থা, তখন হঠাৎ করে সৌদি আরবের মদিনায় অবস্থিত পবিত্র মসজিদে নববীতে মুষলধারে বৃষ্টি ঝরেছে। এ সময় বৃষ্টির মাঝেই নামাজ-ইবাদত ও জিকিরে লিপ্ত ছিলেন ইবাদতকারীরা। অনেক মুসল্লি এ সময় খুশিতে কান্না করতে দেখা যায়। তাদের দাবি এটা হচ্ছে পবিত্র মাসে রহমতের বৃষ্টি।
এসময় মসজিদে নববী প্রাঙ্গণে উপস্থিত হাজার হাজার ইবাদতকারীরা বৃষ্টিতে ভিজেই নামাজ আদায় করেন। জানা যায়, বৃষ্টির সময় মসজিদে নববী প্রশাসনের পক্ষ থেকে রোদ থেকে মুসল্লিদের রক্ষায় যে বিশাল বিশাল ছাতাগুলো বসানো হয়েছে সব গুলো খুলে দেওয়া হয়। এ সময় খোলা জায়গা থেকে কার্পেট সরিয়ে দেওয়া হয়।
পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা মসজিদে নববির আঙিনা, ছাদসহ বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা পানি দ্রুত পরিষ্কার করেন।
এর আগে গত সোমবার (১০ এপ্রিল) সৌদি আরবের মক্কা নগরী তথা কাবা শরীফে মুষলধারে বৃষ্টি ঝরে। এসময় পবিত্র রমজান মাসে উমরাহ করতে আসা উমরাহকারীরা প্রশান্তির বৃষ্টিতে ভিজেছেন। কাবা চত্বরে বৃষ্টি এবং সেই বৃষ্টিতে মানুষের ভেজার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
রমজান মাসে যেহেতু ওমরাহকারীর সংখ্যা সাধারণ সময়ের চেয়ে অনেক বেশি থাকে। ফলে এ সময় এমন আবহাওয়া বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই বৃষ্টি নামার পর কাবার দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ দ্রুত কাজ শুরু করে।
কর্তৃপক্ষ দ্রুত সব পদক্ষেপ গ্রহণ। ওমরা করতে আসা মুসল্লিদের যেন কোনো সমস্যা না সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখে। এ সময় হাজার হাজার মুসল্লি বৃষ্টি ভিজতে ভিজতে কাবা শরীফ তাওয়াফ করেন।
অন্য এক সূত্রে জানা যায় কাবা শরিফে পবিত্র রমজান মাসে ইতেকাফ করার বিশ্বে নানা প্রান্ত থেকে লাখ লাখ মুসলিম এখন সেখানে অবস্থান করছেন। তারা ঈদের পরদিন মক্কা ত্যাগ করবেন।
আপনার মতামত লিখুন :