স্বাস্থ্য নিউজ ডেস্ক : গর্ভবতী মায়েদের জন্য বিশেষ করে রমজান মাসে রোজা রাখার সময় কিছু কিছু জিনিস একটু মেনে চলতে হবে। যেমন যারা গর্ভবতী মায়েদের এসিডিটি বেশি থাকে সে জন্য তাদের ভাজাপোড়া বা তৈলাক্ত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
বারো বা চৌদ্দ ঘণ্টা রোজা রাখার ফলে পানিশূন্যতা যেন না হয় সেজন্য ইফতারির পরে এবং ভোর রাতে প্রচুর পানি খেতে হবে। গর্ভবতী যেসব মায়েদের ডায়াবেটিস আছে তাদের যদি ইনসুলিন নিতে হয় সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
কারো অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের ফলে যদি তাকে তিনবেলা ইনসুলিন নিতে হয় সেক্ষেত্রে বাচ্চার কথা চিন্তা করে রোজা না রাখাই ভালো. পরবর্তীতে উনি সেই রোজাটা পূরণ করে নিতে পারবেন।
যেসব নারীদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তাদের জন্য পরামর্শ হলো কোন কিছু খাওয়ার আগে অবশ্যই চিন্তাভাবনা করে খাবেন। তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলবেন। বেশি সমস্যা হলে খাওয়ার পরপরই অ্যান্টাসিড সিরাপটা খেতে পারেন।
গর্ভবতী মায়েরা নরম খাবার বা সহজে হজম হয় এরকম খাবার খাবেন. তাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যদি অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু বাচ্চা হাইপোক্লাসিমায় ভুগতে পারে যা বাচ্চার স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সমস্যা করে।
গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসে যখন মায়েদের প্রচুর বমি হয় এবং খেতে পারেন না সেক্ষেত্রে রোজা না রাখায় ভালো। কেননা এই সময়ে বিভিন্ন ধরণের জটিলতা দেখা দেয় ফলে অনেক মায়েদের তিনবেলা ঔষধ খেতে হয়। সেসময় তার করণীয় হলো আগে নিজেকে সুস্থ রাখা। কেননা রোজাটা উনি পরে করে নিতে পারবেন।
সবশেষ একজন গর্ভবতী নারী সর্বদা নিজের সুস্থতার ব্যাপারে সতর্ক থাকবে। অপুষ্টি, পানি শুন্যতা, প্রেসার বা ডায়াবেটিসের কারণে বাচ্চার যেন ক্ষতি না হয় সেদিকে সর্বদা লক্ষ্য রাখতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :