তীব্র যানজট খুলনা নগরীতে


Buriganga News প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২০, ২০২৩, ১:২৩ অপরাহ্ন /
তীব্র যানজট খুলনা নগরীতে

বুড়িগঙ্গা নিউজ ডেস্ক : ঈদকে কেন্দ্র করে খুলনা মহানগরীতে যানজট তীব্র রূপ নিয়েছে। যানজটের কারণে মাত্র ৫ মিনিটের রাস্তা অতিক্রমে লাগছে আধা ঘণ্টা। রাস্তা সংস্কার, ঈদকে কেন্দ্র করে গাড়ির আনগোনা বৃদ্ধি, অবৈধ ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল, সড়কের পাশে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংসহ নানা কারণে যানজট বেড়েছে। এটা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিক বিভাগের। একদিকে তীব্র গরম, আরেক দিকে যানজট-দুই মিলে নগরীর সাধারণ মানুষের ত্রাহি অবস্থা।

নগরীর যানজট নিয়ন্ত্রণে নগরীর ক্লে রোড এবং কালীবাড়ি রোডে রিকশা-ইজিবাইক চলাচল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেএমপির ট্রাফিক বিভাগ। তবে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে কালীবাড়ি রোডের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়। এছাড়া নগরীর জিরো পয়েন্ট, সাচিবুনিয়া এবং কোয়ে বাজারে চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।

জানা যায়, খুলনা ওয়াসা সম্প্রতি নগরীর আহসান আহমেদ রোড, শামসুর রহমান রোডসহ ১২টি সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি করেছে। সেগুলো এখনো সংস্কার করা হয়নি। ফলে সড়কগুলো দিয়ে ঠিকমতো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। সড়ক ও জনপথ বিভাগ নগরীর রয়্যাল মোড় থেকে রূপসা ঘাট পর্যন্ত খোঁড়াখুঁড়ি ও সংস্কার কাজ করছে। এছাড়া নগরীর ১৪২টি সড়ক ও ড্রেন সংস্কারের কাজ করছে। এসব কারণে কিছু সড়কে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এদিকে ঈদ সামনে রেখে খুলনা যেন পরিণত হয়েছে রিকশা ও ইজিবাইকের নগরীতে। হাজার হাজার ইজিবাইকের কারণে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মোড়ে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।

খুলনা সিটি করপোরেশনের হিসাব অনুযায়ী, নগরীতে লাইসেন্সধারী রিকশার সংখ্যা প্রায় ১৭ হাজার। আর লাইসেন্সধারী ইজিবাইক রয়েছে ৮ হাজার। এর বাইরে লাইসেন্সবিহীন কয়েক হাজার ইজিবাইক ও রিকশা চলাচল করছে। নগরীর কয়েকটি রুটে বাস চলাচল করলেও নগরবাসীর প্রধান বাহন হচ্ছে রিকশা, ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটো ও মাহিন্দ্র। বিভিন্ন জেলা-উপজেলার শ্রমজীবী মানুষ নগরীতে রিকশা ও ইজিবাইক চালান। বিশেষ করে নগরীর শান্তিধাম মোড়, ফারাজীপাড়া ফুলমার্কেট মোড়,ধর্মসভা মোড়, সিমেট্রি রোড ও রূপসা ট্রাফিক মোড়ে ব্যাপক যানজট হচ্ছে। স্যার ইকবাল রোড, পাওয়ার হাউজ মোড়, ডাকবাংলো মোড়, হাদিস পার্কের মোড়, খুলনা সদর থানার মোড়, পিকচার প্যালেস মোড়, আড়ংঘাটার বাসিন্দা মারুফুল ইসলাম শিমূল জানান, ইজিবাইক ও রিকশার কারণে নগরীতে চলাচল করা মুশকিল। অদক্ষ চালক এগুলো চালায়। যার ফলে দুর্ঘটনা হয়। প্রশাসন এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে যানজট কমার পাশাপাশি দুর্ঘটনাও কমবে।

টুটপাড়ার এলাকার মেহেদী হাসান বলেন, এই গরমের মধ্যে রাস্তায় যানজট বেড়ে যাওয়ায় ভোগান্তি ও কষ্ট বেড়েছে। ট্রাফিক বিভাগকে আরও বেশি কঠোর ভূমিকা নিতে হবে। প্রয়োজনে রিকশা, ইজিবাইক চলাচলের জন্য ভিন্ন রুট নির্ধারণ করতে হবে।

জানতে চাইলে কেএমপির ট্রাফিক বিভাগের ডেপুটি কমিশনার মুনীরা সুলতানা বলেন, ঈদের সময় মানুষের চাপ বেড়ে যাওয়ায় যানজট বেড়েছে। যানজট নিরসনে সকাল থেকে রাত অবধি ৩শ জনবল কাজ করছে। প্রায় ২০টি পয়েন্টে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ ছাড়াও তিনটি চেক পয়েন্ট থেকে অবৈধ যান আটকে অভিযান চলছে এবং কয়েকটি স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। আমরা যানজট নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। অবৈধ পার্কিং প্রতিরোধেও কাজ করছি।

আমাদের ফেসবুক পেইজ