নৌকায় পাওয়া ১০ মরদেহের পরিচয় মিলেছে


Buriganga News প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৪, ২০২৩, ১১:৪২ পূর্বাহ্ন /
নৌকায় পাওয়া ১০ মরদেহের পরিচয় মিলেছে

বুড়িগঙ্গা নিউজ ডেস্ক : কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক সমুদ্র উপকূলে মাছধরা নৌকার হিমাগার থেকে উদ্ধার হওয়া ১০ মরদেহের পরিচয় মিলেছে। তারা সবাই জেলে এবং মহেশখালী ও চকরিয়ার বাসিন্দা। ওই নৌকার মালিক মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের বাসিন্দা সামশুল আলম। মরদেহগুলোর মধ্যে তার লাশও মেলে।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও স্থানীয় সূত্রে নিহতদের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়ার রফিক মিয়ার ছেলে সামশুল আলম (২৩),মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে নুরুল কবির (২৮), চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের কবির হোসাইনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৪), শাপলাপুর ইউনিয়নের মিটাছড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮), জাফর আলমের ছেলে শওকত উল্লাহ (১৮), মুসা আলীর ছেলে ওসমাণ গনি (১৭), সাহাব মিয়ার ছেলে সাইফুল্লাহ (২৩), মোহাম্মদ আলীর ছেলে পারভেজ মোশাররফ (১৪), শাহ আলমের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান (৩৫) ও চকরিয়া পৌরসভার চিরিঙ্গা এলাকার জসিম উদ্দীনের ছেলে তারেক জিয়া (২৫)।

এই হতভাগা ১০ জেলের মধ্যে ছয়জনের বাড়ি মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের মিঠাছড়িতে। একজনের বাড়ি একই উপজেলার কালারমারছড়া গ্রামে এবং অপর তিনজনের চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী গ্রামে। নিহত সবাই ৭ এপ্রিল একটি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে সাগরে নেমেছিলেন। গত রবিবার (২৩ এপ্রিল) নাজিরারটেক সৈকত এলাকায় নৌকাটির বরফ রাখার হিমাগার ভেঙে তাদের গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো মাহফুজুল ইসলাম গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, একটি ভাসমান মাছ ধরার নৌকা সোনাদিয়া দ্বীপের পশ্চিমে সাগরে দেখতে পেয়ে মাছ ধরারত অন্যান্য নৌকার জেলেরা কাছে গিয়ে উৎকট গন্ধ পান। জেলেরা নৌকায় পচা গন্ধ পেলে ভাসমান নৌকাটিকে অন্য দুটি নৌকার জেলেরা মিলে নাজিরারটেকে টেনে নিয়ে আসেন। পরে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা নৌকাটির বরফ রাখার হিমাগারের পাটাতন ভেঙে লাশগুলোর বের করেন।

আমাদের ফেসবুক পেইজ