বুড়িগঙ্গা নিউজ ডেস্ক : ভোলার তজুমদ্দিনে বাড়ির চলাচলের পথ আটকানোকে কেন্দ্র করে সালিশের উপস্থিতিতে অতর্কিত হামলায় দুই পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরতর আহত ১১ জনকে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত কামাল দর্জি জানান, চাঁদপুর ইউনিয়নের কেয়ামূল্যাহ সাকিনের ৯ নং ওয়ার্ডের দর্জি বাড়ির জাকির ও তার পিতা খোরশেদ বাড়ির চলাচলের পথে বাঁশ ও জাল দিয়ে বেড়া দিয়ে পথ বন্ধ করে দেয়। এঘটনা বাড়ির লোকেরা স্থানীয় চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ কিরণের কাছে অভিযোগ করেন। গত বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি মিমাংসার জন্য চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে আসার অপেক্ষা করছেন অন্যান্য শালিশসহ দুই পক্ষের লোকজন। এসময় ওই ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার মোখলেস ও একই বাড়ির প্রাক্তন মেম্বার হেলাল দর্জি বিরোধপূর্ণ রাস্তা দেখতে যায়।
এ সময় জাকির ও হেলালের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পার্যায়ে পূর্বথেকে ওৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষ জাকির দর্জির মামা শাহ আলম শরীফের নেতৃত্বে হেলাল মেম্বারের উপর হামলা চালায়। পরে অন্যান্যরা দা বটি ও লোহার রড নিয়ে হামলা চালায় অংশ নেয়। এসময় রক্তাক্ত যখম হয়, হেলাল দর্জি, কামাল দর্জি, সুমন দর্জি, নাজিম দর্জি, শরীফ, মিজান, রেজাউল, মোস্তাফিজসহ অন্তত ১৫ জন। এদের মধ্যে ৯ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ডাক্তার মোঃ রোমান মোল্লা জানান, মারামারির ঘটনা ১৫ জন চিকিৎসা নিয়েছে, ৯ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। অধিকাংশের মাথায় জখম, দুইজনে অবস্থা গুরতর।
চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ কিরণ বলেন, এই ঘটনা তাকে জানানো হয়েছে। তিনি সন্ধ্যায় মীমাংসার জন্য তারিখ দিয়েছেন কিন্তু এর মধ্যে প্রতিপক্ষ গ্রুপ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। কয়েকজন আহত হয় তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করি এবং আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য ওসিকে অবহিত করি।
থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান মুরাদ জানান, মারামারির ঘটনা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে অবহিত হয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :