বুড়িগঙ্গা নিউজ ডেস্ক : ডিম ও মুরগির বাজারে আবারও অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। আর প্রকারভেদে মুরগির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ২০-৫০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাবদাহের কারণে মুরগি মারা যাওয়ায় চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ কমে গেছে।
শনিবার (১১ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, খুচরা বাজারে মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। আবার কোথাও কোথাও ১৫৫ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে যা ১২০-১২৫ টাকা ছিল। অন্যদিকে, শনিবার প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২২০ টাকা বিক্রি হলেও এক সপ্তাহ আগে তা ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এদিন প্রতি কেজি সোনালি মুরগি ৪০০ টাকায় বিক্রি হলেও সাত দিন আগে তা ৩৫০ টাকা ছিল। এদিন দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০-৭০০ টাকায়।
ক্রেতারা বলছেন, তাপদাহের কারণ দেখিয়ে ডিম ও মুরগির বাজারে ফের কারসাজির আশ্রয় নিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। অবৈধ মজুত করে তারা বাজার অস্থির করছে। সরবরাহ কমিয়ে বাড়িয়েছে দাম।
কারওয়ান বাজারে ডিম কিনতে আসা হিমেল মল্লিক বলেন, গত ৪ মে এক ডজন ডিম কিনেছি ১২৫ টাকায়। আজ কিনতে এসেছি, দোকানদার বলছে ১৫০ টাকা ডজন। মাত্র কয়েকদিনে ডিমের দাম ডজনে ২৫ টাকা বেড়েছে।
বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন সূত্র জানায়, রাজধানীর তেজগাঁওসহ সারাদেশের বিভিন্ন আড়ত মালিকরা ডিমের দাম হুট করে কমিয়ে দিয়ে খামারিদের থেকে ডিম নিয়ে হিমাগারে সংরক্ষণ করেন। এরপর সরবরাহ সংকটের অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে মুনাফা করেন। এবারও অবৈধ মজুত করে সরবরাহ কমিয়ে ডিমের দাম বাড়ানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :