‘কোনো দল যদি নির্বাচনে না আসে সেটা তাদের ব্যাপার’


Buriganga News প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৮, ২০২৩, ১১:০৬ পূর্বাহ্ন /
‘কোনো দল যদি নির্বাচনে না আসে সেটা তাদের ব্যাপার’

বুড়িগঙ্গা নিউজ ডেস্ক : ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে ৩০ হাজার ১৫৭ জন তরুণ-তরুণী প্রথম ভোট দেবেন। গত বুধবার রাজশাহী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

রাজশাহী জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে এবার ৩ লাখ ৫২ হাজার ১৫৭ জন ভোটার ভোট দেবেন। এর মধ্যে নতুন ভোটার ৩০ হাজার ১৫৭ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১৮৫ জন এবং নারী ১ লাখ ৮০ হাজার ৯৭২ জন। এর মধ্যে ৩০ হাজার ১৫৭ জন তরুণ-তরুণী প্রথম ভোট দেবেন। গত বছর ভোটার সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ২২ হাজার। এবার সম্ভাব্য ১৫২টি ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ১৭৩টি কক্ষে ইভিএমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

রাজশাহী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীরা প্রস্তুতি শুরু করেছেন। এই নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিতে আমরা আন্তরিক। তবে কোনো দল যদি নির্বাচনে না আসে সেটা তাদের ব্যাপার। আমরা নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনের আয়োজন করব।’

লিটনের পাঁচ বছরে রাজশাহী শহরের উন্নতি ছিল দৃশ্যমান। তবে ২০১৩ সালের নির্বাচনে বড় ব্যবধানে হেরে যান ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত প্রার্থী। সেই নির্বাচনে বুলবুল ভোট পান ১ লাখ ৩১ হাজার ৭৯৬ ভোট। লিটনের বাক্সে পড়ে ৮৩ হাজার ৩৮৯ ভোট। তিনি হারেন ৪৮ হাজার ৪০৭ ভোটে। ২০১৮ সালের ৩০ জুলাইয়ের ভোটে আবার খায়রুজ্জামান লিটনের জয়ী হন। দলীয় প্রতীকে ওই নির্বাচনে নৌকা নিয়ে তিনি পান ১ লাখ ৬৫ হাজার ৩৩২ ভোট। ধানের শীষ প্রতীকে বুলবুল পান ৭৭ হাজার ৭০০ ভোট।

২০০৮ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ৯৮ হাজার ৩৮০ ভোট পেয়ে মেয়র হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। সে সময় বিএনপি সমর্থিত মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ভোট পান ৭৪ হাজার ৫৫০টি। ভোটের ব্যবধান ২৩ হাজার ৮১০টি। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেবারই প্রথম আওয়ামী লীগ সমর্থিত কোনো প্রার্থী শহরটিতে জয়ের মুখ দেখে।

আমাদের ফেসবুক পেইজ