তরমুজ লুটে বাধা দেওয়ায় চাষিকে কুপিয়ে জখম


Buriganga News প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৪, ২০২৩, ৭:৫৫ অপরাহ্ন /
তরমুজ লুটে বাধা দেওয়ায় চাষিকে কুপিয়ে জখম

বুড়িগঙ্গা নিউজ ডেস্ক : বরগুনায় একটি খেত থেকে তরমুজ লুট করার সময় বাধা দেওয়ায় চাষিকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই চাষিকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়েছেন স্থানীয়রা। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোমবার রাতে সদরের ঢলুয়া ইউনিয়নের ফুল ঢলুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত চাষি মিলন হাওলাদার ওই গ্রামের হামেদ হাওলাদারের ছেলে। অভিযুক্ত সাগর তিনিও একই গ্রামের দেলোয়ার হাওলাদারের ছেলে। মিলন ও সাগর সম্পর্কে চাচাতো ভাই।

প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল মান্নান বলেন, সন্ধ্যার পরপরই ৫-৭ জন অপরিচিত ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় এসে মিলনের তরমুজ খেতে লুটপাট চালায় সাগর। এতে বাধা দিলে মিলনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে জখম করে ওরা। এ সময় আমি এগিয়ে এলে আমাকেও তাড়া করে। পরে ডাকচিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে ওরা পালিয়ে যায় এবং মিলনকে উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই।

চাষি মিলনের মা রওশনারা বেগম বলেন, শুধু তরমুজ লুট না, মূলত আমার ছেলেকে হত্যা করতে চেয়েছিল ওরা। বরগুনা থেকে বরিশাল ও পরে ঢাকায় নিয়ে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে মিলনকে। বলা যায় না ছেলেটা আমার বাঁচবে কিনা। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

ঢলুয়া ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক স্বপন বলেন, এক তরমুজ চাষির কাছে গিয়ে তরমুজ দাবি করে তারা, তরমুজ না দেওয়ায় চাষিকে কুপিয়েছে। তারা এলাকার কিশোর গ্যাং নামে পরিচিত। এর আগেও অনেকবার মারামারি করছে। এদের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া দরকার।

এ বিষয় জানতে অভিযুক্ত সাগরের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। তবে এ বিষয় সাগরের দাদি আইফুল বলেন, আমার নাতি এমন কাজ করতেই পারে না। কারা না কারা এ কাণ্ড ঘটিয়েছে সেই দায় আমাদের ওপর দিচ্ছে।

বরগুনা সদর থানায় ওসি আলী আহম্মেদ বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমাদের ফেসবুক পেইজ