ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণে চাহিদা কম


Buriganga News প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৭, ২০২৩, ১০:১৯ পূর্বাহ্ন /
ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণে চাহিদা কম

বুড়িগঙ্গা নিউজ ডেস্ক : দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে ভোগ্যপণ্যের পাইকারি ও খুচরা বাজারে। ফলে পাহাড়তলী, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে এবছর অন্যান্য বছরের মতো পণ্যের চাহিদা নেই। নিত্যপণ্য কিনতেই মানুষের আয়ের বেশিরভাগ খরচ হয়ে যাচ্ছে। তাই মানুষ এখন ভোগ্যপণ্য কেনা কমিয়ে দিয়েছে।

ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ ও পাহাড়তলীতে দাম কমার লক্ষণ নেই। বেশির ভাগ পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে হাতেগোনা কয়েকটি ভোগ্যপণ্যের দাম সামান্য কমলেও রমজানের আগে যে হারে বেড়েছিল সে হারে কমছে না। আর দাম বাড়ার কারণে চাহিদা কম। ব্যবসায়ীরা জানান, স্বাভাবিক দামের চেয়ে এখনো অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে পণ্য। পাইকারি বাজারে দাম কিছুটা কমলেও খুচরা বাজারে এর প্রভাব নেই বললেই চলে।

বিগত বছর গুলোতে চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার থেকে রমজান মাসে পাশের জেলা বান্দরবান, কক্সবাজার ও বিভিন্ন উপজেলায় ট্রাকেভর্তি ভোগ্যপণ্যের বিক্রি হত। সেসময় চাহিদা ছিলো ভোক্তাদের। কিন্তু এ বছর এ চাহিদায় ভাটা পড়েছে। রমজান মাস ঘিরে দেশের অন্যতম বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে ব্যবসা চাঙ্গা থাকার কথা থাকলেও এবার ধস নেমেছে।

খুচরায় আগের মতোই রয়েছে ভোগ্যপণ্যের উত্তাপ। খাতুনগঞ্জে ৪ হাজারের উপরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গুদাম রয়েছে। বরাবরের মতো এসব গুদামে এবারো চিনি, ভোজ্যতেল, আটা-ময়দা, ডাল, ছোলা, চাল, মসলাসহ সব ধরনের পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। কিছু পণ্যের দাম সামান্য কমতির দিকে থাকলেও সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে এসেছে। ক্রেতা সংকটে কমেছে খাতুনগঞ্জ-চাক্তাইসহ নগরীর সব বাজারের বেচাকেনা।

বিগত বছরের রমযানে ছুটির দিন গুলোতে জমজমাট থাকত চট্টগ্রামের বেশির ভাগ পাইকারি ও খুচরা বাজার। এবারের দৃশ্য ভিন্ন। অন্যান্য বছরের মতো বেচা-বিক্রি নেই । পাহাড়তলী, খাতুনগঞ্জ, চাক্তাইসহ চট্টগ্রাম নগরীর খুচরা বাজার গুলো দেখা যায়নি ব্যস্ততা ।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে চট্টগ্রামে কাঁচাবাজার গুলোতে অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে ২২০ টাকা থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে। সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে মাছ ও ডিমের দাম।

এবারের সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা । সরকার গতকাল থেকে খোলা চিনি ১০৩ টাকা এবং প্যাকেট চিনি ১০৯ দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাজার গুলোতে খোলা চিনি ১২০ টাকা এবং প্যাকেট চিনি ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । ছোলা বিক্রি হচ্ছে মান অনুযায়ী ৯০থেকে ৯৫ টাকা।

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ বিভিন্ন পণ্যের দামে পরিবর্তন আসেনি। পেঁয়াজ প্রতি কেজি দেশি ৪০ টাকা থেকে ৪২ টাকা, পাকিস্তানি ৪৫ টাকা। দেশি রসুন কেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকা, আমদানি করা রসুন কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনপ্রতি ১৫ টাকা বেড়ে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে সব প্রকারের ফলের দাম।

সবজির দামও চড়া। কাকরল প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা । সজিনা ১২০ টাকা প্রতি কেজি। চিচিংগা ৮০ টাকা । বেগুন প্রতি কেজি ৬০১ টাকা। মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিচ ৬০-৭০ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। বরবটি ৮০-৯০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৮০-১০০ টাকা, পটল ৮০, করলা ৮০ টাকা ও আলু ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লতি ৭০ টাকা।

পাহাড়তলী বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, কিছু পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর কিছু পণ্যের দাম কমছে আর কিছু বেড়েছে। বাজারে এখন আগের মতো বেচাকেনা নেই। দাম বাড়ায় চাহিদা কিছুটা কম। দাম কমলে হয়তো চাহিদা বাড়বে ।

আমাদের ফেসবুক পেইজ