বুড়িগঙ্গা নিউজ ডেস্ক : বাগেরহাটে ২০২০ সালের চাঞ্চল্যকর এনজিও কর্মীকে সংঘবদ্ধ গণধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দীর্ঘদিন যাবত পালিয়ে থাকা বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টভূক্ত আসামীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে জনগনের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করে আসছে।
ভিকটিম একজন এনজিও কর্মী। সে বাগেরহাট জেলার ফরিকরহাট থানাধীন জাড়িয়া মাইটকুমড়া এলাকার ভাড়া থাকতো। গত ১০ অক্টোবর ২০২০ তারিখ রাতে ভাড়া বাসায় প্রতিদিনের মত রাতের খাবার খেয়ে সে তার ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে পরেন। রাত আনুমানিক ০২.০০ ঘটিকার দিকে আসামীরা ভিকটিমের বসত ঘরের দরজা খুলে সু-কৌশলে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। এ সময় ঘরে অবস্থানরত ভিকটিমকে (এনজিওকর্মী) অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তার গলায় ও কানে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকাসহ আনুষাঙ্গিক মালামাল লুটপাট করে। ডাকাতি শেষে আসামীরা ভিকটিমকে জোরপূর্বক সংঘবদ্ধ গণধর্ষণ করে এবং তাদের অন্য এক সহযোগী সে ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে।
উল্লেখিত ঘটনা কারো কাছে প্রকাশ করলে উক্ত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে আসামীরা পালিয়ে যায়। তখন ভিকটিম রুমের বারান্দায় এসে চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এসে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানায় ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা রুজু করেন।
বিচারকার্য শেষে বিজ্ঞ আদালত উক্ত গণধর্ষণ মামলার অন্যতম পলাতক আসামী ফিরোজ নিকারীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং নগদ ০১ (একলক্ষ) টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ০১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। ঘটনাটি জানতে পেরে র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি আভিযানিক দল উক্ত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে।এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) এবং সিপিসি-২, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের যৌথ আভিযানিক দল ৬ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাংগা জেলার মেহেরপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত গণধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ১। ফিরোজ নিকারী (২৯), থানা-ফকিরহাট, জেলা-বাগেরহাটকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :