বুড়িগঙ্গা নিউজ ডেস্ক : বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধল ইউনিয়নের গোমা খেয়াঘাটে ঈদকে পুঁজি করে চলছে ইজারাদার ফারুক সিকদারে নৈরাজ্য। অভিযোগ সূত্রে সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা পরিষদের নির্ধারিত ভাড়া মানুষ প্রতি ৩টাকা নিচ্ছে ১০টাকা, মটর সাইকেল প্রতি ১৩টাকা নিচ্ছে ৫০টাকা, রাত ৮টার পরে মানুষ প্রতি ২০/৩০টাকা, মটর সাইকেল ১০০টাকার হাতিয়ে নিচ্ছে ইজারাদার ফারুক সিকদার।
ভুক্তভোগী কালিশুরীর মোঃ হাসান বলেন, মটর সাইকেল পারাপারের জন্য তাদের দাবি কৃত ৫০টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের হাতে নাজেহাল হতে হয় আমার।
নলুয়া ইউনিয়নের আসিফ সিকদার বলেন, আমার বৃদ্ধ বাবা /মা কে ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে গোমা খেয়াঘাটে আসি আমাদের ৩জনার ১৫টাকা দিলে আমাকে খারাপ ভাষায় গালমন্দো করে। আমি তাদের নৈরাজ্যের প্রতিবাদ করলে আমাকে চাঁদাবাজির মামলা দিবে বলে হুমকি দেয়।
ইজারাদার ফারুক সিকদার কাছে খেয়াঘাটের নৈরাজ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বললেন লিখে কি করতে পারেন দেখি।
ইজারাদারের লোকজন বলেন আমরা টিএনও অফিসকে ৫হাজার, এসিল্যান্ডকে১০হাজার, বাকেরগঞ্জ থানায়১০হাজার, চরামদ্দি পুলিশ ফাঁড়িতে ৫হাজর টাকা প্রতি মাসে দিয়ে ব্যাবসা করি।২টাকার পত্রিকায় লিখে কি হবে
সহকারী কমিশনার (ভূমি)আবুজর মোঃ ইজাজুল হক এর মোবাইলে ফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
খেয়াঘাট পারাপারের ভুক্তভোগীরা ইজারাদার ফারুক সিকদারের নৈরাজ্যের হাত থেকে বাঁচতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কঠর নজরদারি ও প্রশাসনিক ব্যাবস্থা নেয়ার জোড় দাবি জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :