তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙার আশঙ্কা


Buriganga News প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২০, ২০২৩, ৭:৩২ অপরাহ্ন /
তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙার আশঙ্কা

বুড়িগঙ্গা নিউজ ডেস্ক : চলতি বছরে বৈশ্বিক তাপমাত্রার রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন জলবায়ুবিদরা। জলবায়ু পরিবর্তন ও বিশেষ আবহাওয়াগত অবস্থা ‘এল নিনোর’ প্রভাবে এমনটি ঘটার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্প্যানিশ ভাষার দুই শব্দ ‘এল নিনো’ এবং ‘লা নিনা’। গত কয়েক শ বছর ধরে এই শব্দ দুটি দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব উপকূলের জলবায়ুগত অবস্থা বা চক্রকে বোঝানো হয়। ‘এল নিনো’র প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলবর্তী বিস্তীর্ণ অঞ্চলে খরা বা অনাবৃষ্টি দেখা দেয়। কোনো কোনো অঞ্চলে অতিবর্ষণও ঘটে। সাধারণত ২ থেকে ৪ বছর স্থায়ী হয় ‘এল নিনো’। এরপরই আসে ‘লা নিনা’। সে সময় ‘এল নিনো’র বিপরীত অবস্থা দেখে প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলবর্তী বিভিন্ন দেশ। গত তিন বছর প্রশান্ত মহাসাগরে লা নিনা আবহাওয়া প্যাটার্ন ছিল। ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের চাপ থাকা সত্ত্বেও খানিকটা কম ছিল বৈশ্বিক তাপমাত্রা। কিন্তু চলতি বছরের মাঝামাঝি বা তার কিছু পর থেকে ‘লা নিনা’ শেষ হবে। এরপর শুরু হবে ‘এল নিনো’ প্যাটার্ন।

এর আগে, সর্বোচ্চ বৈশ্বিক তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২০১৬ সালে। সে সময় প্রশান্ত মহাসাগরে এল নিনো আবহাওয়া প্যাটার্ন বিদ্যমান ছিল। পরবর্তীতে কোনো বছরই ২০১৬ সালের রেকর্ড ভাঙতে পারেনি। তবে চলতি বছর যদি এল নিনো ফিরে আসে, সেক্ষেত্রে ২০১৬ সালের সেই রেকর্ড ভেঙে যাবে বলে মনে করছেন জলবায়ুবিদরা।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু গবেষণা সংস্থা কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের পরিচালক কার্লো বুয়োন্তেমপো বলেন, এল নিনো আবহাওয়া প্যাটার্নের সঙ্গে বৈশ্বিক রেকর্ডভাঙা তাপমাত্রার সম্পর্ক বেশ নিবিড়। ২০২৩ অথবা ২০২৪ ঠিক কবে এল নিনো প্যাটার্ন ফিরবে, সেটি এখনও নিশ্চিত নয়, তবে এটা যে আসছেই—তা নিশ্চিত।

যুক্তরাজ্যের লন্ডন ইম্পিরিয়াল কলেজের অধীন জলবায়ুবিদ্যা সংস্থা গ্র্যান্থাম ইনস্টিটিউটের জেষ্ঠ্য প্রভাষক ফ্রেডেরিক ওট্টো বলেন, যদি এল নিনো ফিরে আসে, তাহলে ২০২৩ সালেই ২০১৬ সালের রেকর্ড ভেঙে যাওয়ারআশঙ্কা রয়েছে। কারণ জীবাশ্ম জ্বালানির অতি ব্যবহারের কারণে প্রতিদিনই বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ছে। সূত্র : রয়টার্স

আমাদের ফেসবুক পেইজ