দুদক কর্মকর্তা সেজে প্রতারণা, গ্রেফতার ২


Buriganga News প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৬, ২০২৩, ৮:১২ অপরাহ্ন /
দুদক কর্মকর্তা সেজে প্রতারণা, গ্রেফতার ২

বুড়িগঙ্গা নিউজ ডেস্ক : দুদক কর্মকর্তা সেজে মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতেন অর্থ। একই ঘটনায় বেশ কয়েকবার খেটেছেন জেল। বের হয়ে আবারো জড়িয়েছেন একই কর্মকাণ্ডে। সর্বশেষ গত ৬ মার্চ গোয়েন্দা পুলিশের জালে ধরা পড়ার পর পাঠানো হয় শ্রীঘরে। তবে এ পেশা তিনি ছাড়তে নারাজ। জামিনে মুক্ত হয়ে আবারো একই কাজ শুরু করেন তিনি। আবারো প্রতারণা অভিযোগে এই ভুয়া দুদক কর্মকর্তাসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

গত মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে রাজৈর উপজেলার লুনদী এলাকা থেকে আনিসুর রহমান ওরফে বাবুল(৩৫) ও এ চক্রের মূল হোতা আসাদুজ্জামান মীরকে(৩৩) গ্রেফতার করে মাদারীপুর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা।

বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার মাসুদ আলম। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার লুনদী এলাকার মৃত হক মিয়ার ছেলে আনিসুর রহমান ওরফে বাবুল ও সৈয়দ ইদ্রিস আলী মীরের ছেলে আসাদুজ্জামান মীর।

মাদারীপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই ব্রিফিংয়ে মাসুদ আলম বলেন, আসাদুজ্জামান মীর ও আনিসুর রহমান দুর্র্ধষ প্রতারক। তারা দুদক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সময় মানুষকে প্রতারিত করেছে। তাদের মূল টার্গেট ছিল সমাজের বিশিষ্ট মানুষ, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। এদের মধ্যে চক্রের সদস্য আসাদুজ্জামান মীর প্রতারণার মাধ্যমে একজন ব্যক্তির কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় আরো লোকের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছেন। আমাদের কাছে অভিযোগ আসার পরে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ শাখা অভিযানে নামে। পরবর্তীতে প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের ধরতে সক্ষম হই।

মাসুদ আলম আরো বলেন, অবাক করা বিষয় হচ্ছে এ চক্রের আরেক সদস্য আনিসুর রহমান ওরফে বাবুল যাকে আমরা গত দেড় মাস আগেও গ্রেফতার করেছিলাম। যার বিরুদ্ধে এখনো ৭ টি মামলা চলমান রয়েছে। তিনি সম্প্রতি জামিনে বের হয়ে একই প্রতারণার কাজে লিপ্ত হয়েছেন। তিনি এই চক্রের মূল হোতা আসাদুজ্জামান মীরকে এই কাজে সহযোগীতা করে আদায় করা অর্থের ভাগ নিয়েছেন। যা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা একথা স্বীকার করেছেন। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের ২২টি সিম কার্ড, প্রতারণার মাধ্যমে আদায়কৃত নগদ ৯১ হাজার ৩শ টাকা ও বিসিএস ১৯৮৫ ব্যাচের কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বর ও একটি পরিচিতি সম্বলিত স্মরনিকা উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে সমাজের সবার কাছে একটাই অনুরোধ এ ধরনের প্রতারকদের খপ্পরে না পড়ার জন্য।

এ বিষয়ে মাদারীপুর জেলা গোয়েন্দা শাখার তদন্তকারী কর্মকর্তা রায়হান সিদ্দিকী শামীম বলেন, আমরা অভিযান পরিচালনা করে চক্রের মূল হোতা আসাদুজ্জামান মীর ও আনিসুর রহমান ওরফে বাবুলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সাথে এই চক্রের আরো সদস্য থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মাদারীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক এএইচ এম সালাউদ্দিন বলেন, তারা নিজেদেরকে দুদক কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিতেন এবং এই প্রতারক চক্রটি মানুষকে ফাঁদে ফেলে মোবাইলে অর্থ লেনদেনের মাধ্যম নগদে টাকা নিতেন। আমরা গোয়েন্দা বিভাগ অভিযোগ পাওয়ার পরে মামলা গ্রহণ করে তাদের গ্রেফতার করি।

আমাদের ফেসবুক পেইজ