সাবেক নারী এমপির মানহানির মামলায় ৪ জনের কারাদণ্ড


Buriganga News প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৬, ২০২৩, ৯:০৪ অপরাহ্ন /
সাবেক নারী এমপির মানহানির মামলায় ৪ জনের কারাদণ্ড

বুড়িগঙ্গা নিউজ ডেস্ক : সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আসমা জেরিন ঝুমুর করা এক মানহানির মামলায় চারজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি হলেন- সাহিদ ভাসানী, মো. আসাদুজ্জামান, নাসির ভাসানী ও শুকুর ভাসানী।

আসামিরা জামিনে ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে হাজির ছিলেন। রায়ের পর আসামিপক্ষে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। আদালত সেই আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আসামিপক্ষে আইনজীবী এসএম আমিনুল ইসলাম শুনানি করেন। তিনি বলেন, যে সম্পত্তির দখল নিয়ে বিরোধ সেটি ফকির মাহমুদ ওয়াকফ স্টেটের অন্তর্ভুক্ত। ওয়াকফ সম্পত্তি উদ্ধারের দাবিতে এলাকাবাসী একটি মানববন্ধন করেছে। আসামিরা ফকির মাহমুদের বংশধর।

এ মামলায় সাক্ষী হিসেবে বাদির ভাই জাবির সরদার সোহাগ জবানবন্দি দিয়েছেন। জেরায় তিনি স্বীকার করেছেন, ৫৭০ পেয়ারাবাগ, বড় মগবাজার হোল্ডিংস্থ ওয়াকফ তালিকাভুক্ত সম্পত্তি। যার ভাড়া আমার বোন (বাদী) আদায় করে। এতেই বোঝা যায় বাদী ওয়াকফভুক্ত সম্পত্তি নিজ দখলে রেখেছেন। সেই সম্পত্তি উদ্ধারের জন্যই স্থানীয়রা মানববন্ধন করেন।

তিনি আরও বলেন, সাজার এ রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪২৬(২)/ক ধারা অনুযায়ী আমরা আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করি। যেহেতু ইতোপূর্বে আসামিরা জামিনের শর্ত ভঙ্গ করেননি। সেহেতু আপিলের শর্তে তারা জামিনের হকদার ছিলেন। এ কারণে আদালতের এ আদেশে আমরা সংক্ষুব্ধ এবং এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১ মার্চ এ মামলা করেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আসমা জেরিন ঝুমু।

মামলার আরজিতে বলা হয়, ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ‘৪নং নিউ ইস্কাটন রোড ফকির মাহমুদ ওয়াকফ এস্টেটের জমি জবরদখলকারী মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী আসমা ঝুমুর বিচার চাই, বিচার চাই’- নামে ব্যানার টানিয়ে দরখাস্তকারীনির মান-সম্মানের ওপর চরম আঘাত হেনেছে। এর মাধ্যমে বাদীর মান-সম্মানের উপর চরম আঘাত হেনেছে। এভাবে আসামিরা ৫০০ ধারার আওতায় অপরাধ করেছেন।

আদালত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে হাতিরঝিল থানা পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক সুব্রত দেবনাথ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দেন।

প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ নভেম্বর চার আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এরপর চার মাস সময়ের মধ্যে বিচার শেষ হয়। বিচার চলাকালে ৫ জন সাক্ষীর তিনজন আদালতে জবানবন্দি দেন।

 

আমাদের ফেসবুক পেইজ