বুড়িগঙ্গা নিউজ ডেস্ক : বিশ্বের সকল মাকে উৎসর্গ করা দিন আজ, ‘বিশ্ব মা দিবস’। প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার এই দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়।
মা দিবসের উদ্দেশ্য, প্রতিটি মাকে যথাযথ সম্মান দেয়া। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা দেয়া। যিনি জন্ম দিয়েছেন, লালন-পালন করেছেন—সেই মা অনেক ক্ষেত্রেই অবহেলিত। ঘরে-বাইরে সর্বেক্ষত্রে মায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষেই দেশে দেশে মা দিবস পালন করা হয়। যারা আজও বলেনি মা তোমাকে ভালোবাসি, আজ না হয় বলে ফেলুন মা তোমাকে ভালোবাসি
জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে আনা জার্ভিস ও তার মেয়ে আনা মারিয়া রিভস জার্ভিসের উদ্যোগে মা দিবসের সূচনা হয়। আনা জার্ভিস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর ও ওহাইওর মাঝামাঝি ওয়েবস্টার জংশন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তার মা অ্যান মেরি রিভস জার্ভিস সারা জীবন ব্যয় করেন অনাথ-আতুরের সেবায়। মেরি ১৯০৫ সালে মারা যান। লোকচক্ষুর অগোচরে কাজ করা মেরিকে সম্মান দিতে চাইলেন মেয়ে আনা জার্ভিস। অ্যান মেরি রিভস জার্ভিসের মতো দেশজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সব মাকে স্বীকৃতি দিতে আনা জার্ভিস প্রচার শুরু করেন।
সাত বছরের চেষ্টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায় মা দিবস। ১৯১১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি রাজ্যে মা দিবস পালনের ঘোষণা দেয়া হয়। ১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
তবে মা দিবসের প্রবক্তা আনা জার্ভিস দিবসটির বাণিজ্যিকীকরণের বিরোধিতা করে বলেছিলেন, মাকে কার্ড দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর অর্থ হলো, তাকে দুই কলম লেখার সময় হয় না। চকলেট উপহার দেয়ার অর্থ হলো, তা নিজেই খেয়ে ফেলা।
ইউরোপ-আমেরিকায় ঘটা করে পালন করা হয় মা দিবস। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে যেমন ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় রবিবার নরওয়েতে, মার্চের চতুর্থ রবিবার আয়ারল্যান্ড, নাইজেরিয়া ও যুক্তরাজ্যে এবং বাংলাদেশে মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার দিবসটি পালন করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :