বছরে খরচ কমবে ৪৬ কোটি ডলার ক্যাপটিভের দক্ষতা বাড়ালে


Buriganga News প্রকাশের সময় : মে ১৪, ২০২৪, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন /
বছরে খরচ কমবে ৪৬ কোটি ডলার ক্যাপটিভের দক্ষতা বাড়ালে

বুড়িগঙ্গা নিউজ ডেস্ক : ড়িদেশের যেসব শিল্পকারখানা ক্যাপটিভ জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তারা পুরনো জেনারেটর বদলে নতুন, উচ্চ-দক্ষতার জেনারেটর ব্যবহার করলে এবং উৎপাদিত তাপবর্জ্য কাজে লাগালে বাংলাদেশে এলএনজি চাহিদা কমবে। এতে বছরে সাশ্রয় হবে ৪৬ কোটি ডলার।

দ্য ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালিসিসের (আইইএফএ) এক গবেষণায় এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

আইইএফএর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ওই গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, বৈশ্বিক জ্বালানি বাজার অস্থির থাকায় সস্তায় এলএনজি কিনে, তা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধনের যে পরিকল্পনা বাংলাদেশের ছিলো, তা এখনকার বাস্তবতায় ব্যাকফায়ার করতে পারে।

যে কারণে বাংলাদেশের উচিত নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে নজর দেয়া। তা না হলে, চড়ামূল্যের এলএনজি একদিকে অর্থনীতিকে আরও নাজুক করবে অন্যদিকে পরিবেশের ক্ষতিও বাড়াবে।

দেশের ক্রমবর্ধমান এলএনজির চাহিদা হ্রাসে, এ গবেষণায় ৫১টি শিল্প কারখানার প্রায় ২৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন মোট ১২৪টি গ্যাসচালিত ক্যাপটিভ জেনারেটরের ওপর জরিপ চালানো হয়।

আইইইএফএর প্রধান বিশ্লেষক এবং গবেষণা প্রতিবেদনের লেখক শফিকুল আলম বলেন, গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদায় অস্থিতিশীল জ্বালানি এলএনজি’র উপর নির্ভরশীলতা মাত্রাতিরিক্ত বাড়লে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরো ঝুঁকিতে পড়বে।

শফিকুল আলমের মতে, গ্যাসভিত্তিক ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানির অদক্ষ ব্যবহারের ফলে বছরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গ্যাস খরচ হয়। গত দশকে ক্যাপটিভ জেনারেশনের গড় দক্ষতা ৩০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৫.৩৮ শতাংশে উন্নীত হলেও এ খাতে আরো জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি উল্লেখযোগ্য অংশই এই জেনারেটর থেকে নির্গত তাপ কোনো উৎপাদনশীল কাজে ব্যবহারও করে না।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুরাতন ও অদক্ষ তথা ব্যয়বহুল জেনারেটরের বদলে জ্বালানি দক্ষ জেনারেটর লাগিয়ে এবং জেনারেটর থেকে নির্গত তাপকে কাজে লাগিয়ে আমদানি করা এলএনজির চাহিদা বছরে ৫০.১৮ বিলিয়ন ঘনফুট বা ২১ শতাংশ কমাতে পারে, যা বছরে ৪৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় করবে।

গবেষণায় দেখা গেছে, জেনারেটর প্রতিস্থাপনের জন্য উল্লেখযোগ্য অগ্রিম বিনিয়োগের প্রয়োজন হলেও, এই মূলধন ব্যয় উঠে আসতে দেড় থেকে পাঁচ বছর সময় লাগবে। আর জেনারেটর থেকে নির্গত তাপ উৎপাদনশীল কাজে ব্যবহারের জন্যে করা বিনিয়োগ মাত্র এক বছরেই তুলে আনা সম্ভব হবে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, কয়েক বছর আগে এলএনজির বাজার দর কম থাকায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পরিকল্পনায় এলএনজি ব্যবহারে নেয়া উদ্যোগ বাংলাদেশকে যথেষ্ট ভুগিয়েছে। দেশের অর্থনীতিতে অস্থিতিশীল বৈশ্বিক বাজারের অভিঘাতের মাত্রা বেড়েছে।

গবেষক শফিকুল আলম বলেন, পুরোপুরি নিজস্ব জ্বালানির উপর নির্ভরতা আমাদের জন্য অনেকটাই অসম্ভব, তবে নীতিমালা প্রণয়ন করে অবশ্যই আমদানি নির্ভরতায় লাগাম টেনে ধরার উপায় খুঁজে বের করতে হবে।

আমাদের ফেসবুক পেইজ