দুর্ঘটনায় নিহত ৭ জনের দাফন শিবচরে সম্পন্ন


Buriganga News প্রকাশের সময় : জুন ২৩, ২০২৪, ৩:০৪ অপরাহ্ন /
দুর্ঘটনায় নিহত ৭ জনের দাফন শিবচরে সম্পন্ন

বুড়িগঙ্গা নিউজ ডেস্ক : বরগুনার আমতলীতে সেতু ভেঙে যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস পানিতে ডুবে নিহত ৭ জনের দাফন শেষ হয়েছে।আজ রোববার (২৩ জুন) সকাল ১০টায় দুই দফা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়। এ সময় নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন নিহতদের জানাজায় শরিক হয়ে প্রত্যেকের পরিবারকে দাফন খরচ বাবদ ১০ হাজার করে ৭০ হাজার টাকা প্রদান করেন।এর আগে রাত ৩ টার দিকে ৭ মরদেহ বাড়িতে পৌঁছালে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।একসঙ্গে একই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যুর শোক কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না স্বজনরা।

জানা যায়, বরগুনার আমতলীতে বোনের মেয়ে হুমায়রা আক্তারের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুধবার রাজধানী ঢাকা থেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে মাদারীপুরের শিবচরের ভদ্রাসনের গ্রামের বাড়িতে আসেন ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ। মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে গেলেও প্রাণ হারায় তার স্ত্রী শাহানাজ আক্তার মুন্নী ও দুই মেয়ে তাহিয়া ও তাসদিয়া। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কেড়ে নেয় ব্যাংক কর্মকর্তার বোন, ভাবী, দুই ভাগ্নেসহ একই পরিবারের ৭ জনকে।

পুলিশ সূত্র জানায়, আমতলীর কাউনিয়ার মনিরুল ইসলামের মেয়ে হুমায়ারার সঙ্গে একই এলাকার সেলিম ইসলামের ছেলে সোহাগের বিয়ে শুক্রবার দুপুরে সম্পন্ন হয়। শনিবার দুপুরে কনেপক্ষ আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার সময় বহনকারী মাইক্রোবাসটি লোহার সেতু ভেঙে পানিতে ডুবে যায়। এ ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে ৭ জনই মাদারীপুরের শিবচরের।

নিহতরা হলেন – শিবচরের ভদ্রাসনের গ্রামের আবুল কালাম আজাদ-এর স্ত্রী শাহানাজ আক্তার মুন্নী (৪০) ও তার দুই মেয়ে তাহিয়া (০৭) এবং তাসদিয়া (১১)। একই এলাকার মৃত ফকরুল আহম্মেদের স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪০), সোহেল খানের স্ত্রী রাইতি আক্তার (৩০), বাবুল মাদবরের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪০) এবং রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রুমি বেগম (৪০)।

উপজেলার ভদ্রাসন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বেপারী বলেন, একটি পরিাবরের ৭ জনের একসঙ্গে মারা যাওয়ার ঘটনায় পুরো ইউনিয়নজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের পরিবারকে সান্ত্বনা দেয়ারও ভাষা নেই। কীভাবে এই শোক মেনে নেবে, সেটাই বুঝতে পারছি না। তবুও এলাকাবাসী ও ইউনিয়ন পরিষদ সব সময় এই পরিবারটি পাশে থাকবে, সেই প্রত্যাশা করছি।

আমাদের ফেসবুক পেইজ