অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসার পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের


Buriganga News প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪, ৫:৩১ অপরাহ্ন /
অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসার পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

বুড়িগঙ্গা নিউজ ডেস্ক : শিগগিরই শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সব ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহে বৈঠকটি হওয়ার কথা। মূলত দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিভিন্ন ইস্যুতে মুখোমুখি আলাপের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকার এ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো দুই দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে সংলাপের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় উচ্চপর্যায়ের এই দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সংলাপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাংলাদেশের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন প্রতিনিধিদলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ, পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য দপ্তর ও ইউএসএইডের কর্মকর্তাদের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। সংলাপে বাংলাদেশের আর্থিক ও মুদ্রানীতির পাশাপাশি আর্থিক খাতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হবে।

মার্কিন রাজস্ব ও অর্থ দপ্তরের আন্তর্জাতিক অর্থায়নবিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক দুর্বলতা মোকাবিলা ও নিরবচ্ছিন্ন প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়ন নিশ্চিতে একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করতে পারবে বলে আশাবাদী যুক্তরাষ্ট্র।

তিনি বলেন, আইএমএফ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশের নিরবচ্ছিন্ন সম্পৃক্ততা নিশ্চিতের জন্য মার্কিন সমর্থন বৃদ্ধির পরিকল্পনা করেছে ওয়াশিংটন। কারণ, আর্থিক খাতের সংস্কার গভীরতর করে টেকসই উন্নয়ন এবং দুর্নীতি কমিয়ে এনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জোরদার করতে চায় ঢাকা।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমস বলছে, ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য সংলাপে বাংলাদেশের আর্থিক এবং মুদ্রানীতির পাশাপাশি আর্থিক খাতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করা হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সফরকালে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

আমাদের ফেসবুক পেইজ