বিনোদন ডেস্ক : ছাত্র-জনতার তোপের মুখে পড়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। বিগত সরকারের পতনের পর থেকে আতঙ্কে আছেন আওয়ামী লীগ সমর্থক তারকারা। কেউ কেউ রয়েছেন আত্মগোপনে। কয়েকজন তারকার বিরুদ্ধে মামালাও হয়েছে। এদিকে মামালার আতঙ্কে প্রকাশ্যে আসছেন না চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।
সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠরা। মাহিও আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী। বেশ কয়েক বছর ধরে পর্দায় নিয়মিত না থাকলেও নেত্রী হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ ভালোই করেছিলেন রাজনীতির মাঠে। কিন্ত তাতে খুব একটা লাভ হয়নি তার।
চলতি বছরের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়েছিলেন মাহি। তাই নির্বাচনের আগে নৌকার টিকিটের আশায় দ্বিতীয় স্বামী রাকিব সরকারকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। কিন্তু দল অভিনেত্রীর ওপর ভরসা করতে না পারায় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি মাহিকে।
তবে এতেও দমে যানান এই নায়িকা। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েই রাজশাহী-১ আসন থেকে ট্রাক প্রতীক নিয়ে রাস্তায় নামেন। সেখানেও নৌকার প্রার্থীর কাছে ভরাডুবি হয়ে নির্বাচনে পরাজয় মানতে হয় তাকে।
নির্বাচনে হেরেও হতাশ না হয়ে আওয়ামী লীগের হয়েই মাঠে কাজ করেন মাহি। কিন্তু পরাজয়ের প্রভাব পড়ে অভিনেত্রীর সংসার জীবনেও। ভেঙে যায় তার দ্বিতীয় সংসারও। বর্তমানে ব্যক্তি জীবনে একমাত্র পুত্রসন্তানকে নিয়ে একাই পথ চলছেন মাহি।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে খোঁজ মিলছে না মাহির। সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়মিত পোস্ট করলেও ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার কিংবা ফোন কল ধরছেন না তিনি। এমনকি শুটিং ফ্লোরেও দেখা নেই তার।
হঠাৎ কোথায় হারিয়ে গেলেন মাহি। এ বিষয়ে সিনেমা সংশ্লিষ্ট অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাদের কেউই খোঁজ দিতে পারেননি মাহির।
তবে কয়েকদিন আগে দেশত্যাগ করতে গিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তাকর্মীদের জেরার মুখে পড়েন মাহি। এয়ারপোর্টে দেড় ঘণ্টা বসে থাকতে হয় তাকে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধমে নিজেই জানান তিনি। পরে ডিজিএফআই, এনএসআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট ভালোভাবে চেক করার পরই ফ্লাই করতে পেরেছেন মাহি।
আপনার মতামত লিখুন :