স্পোর্টস ডেস্ক : চেন্নাই টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪০ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তবে এরপরই টাইগার শিবিরের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান এবং লিটন কুমার। ৫১ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার।
একটা সময় মনে হচ্ছিল, পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর যেভাবে লিটন-মিরাজ শক্ত হাতে হাল ধরেছিলেন, চেন্নাইতেও ঠিক সেই কাজ করতে যাচ্ছেন লিটন ও সাকিব।
কিন্তু বাজে শট খেলে সাজঘরে ফেরেন সাকিব-লিটন। রবীন্দ্র জাদেজার বলে সুইপ করতে গিয়ে সীমানার কাছে ক্যাচ তুলে দেন ডানহাতি উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার। ডিপ মিড-উইকেটে একজন ফিল্ডার থাকার পরও ওই শট খেলাকে সবাই অদূরদর্শী ও চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ বলে মনে করছেন নেটিজেনরা।
একই ভুল করেছেন সাকিবও। লিটন করেছিলেন সুইপ। সাকিব আরও ঝুঁকি নিয়ে রিভার্স-সুইপ খেলতে গিয়ে ভারতীয় উইকেটরক্ষক রিশাভ পান্তের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। যা সহজে মানতে পারেননি ক্রিকেটভক্তরা।
তাদের মতে, দুটি অপ্রয়োজনীয় ও ওয়ানডে -টি টোয়েন্টি ধারার শটই বাংলাদেশের ফলোঅন এড়ানোর পথ রুদ্ধ হয়েছে। তবে বাংলাদেশের এই অবস্থার জন্য শুধু সাকিব-লিটনকে দায়ী করতে চান না হাবিবুল বাশার সুমন।
হাবিবুল বাশার সুমন মনে করেন, ৪০ রানে ৫ উইকেট পতনের সময়ই বিপাকে পড়েছে টাইগাররা। লিটন ও সাকিবের ভুল শটের কারণেই যে বাংলাদেশ ব্যাকফুটে চলে গেছে, ব্যাপারটা তেমন নয়।
বাশার বলেন, শুধু সাকিব আর লিটনকে দায়ী করা উচিত হবে না। তার আগে চার টপঅর্ডার রান করেননি। কারও নাম ধরে বলতে চাই না। আমাদের টপ ও মিডলঅর্ডার রান করেনি, সেটাই বড় ধাক্কা। এজন্যই ব্যাটিংয়ের এই করুণ দশা। পুরো ব্যাটিং অর্ডারই ব্যর্থ। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবাই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য ৪০০’র নিচে হলে সুযোগ থাকতো। মানে সাড়ে তিনশোর আশেপাশে থাকলেও হয়তো একটা প্র্যাকটিক্যাল সুযোগ থাকতো। কিন্তু লক্ষ্য ৪০০’র বেশি হয়ে গেলে চতুর্থ ইনিংসে এই উইকেটে সে লক্ষ্যের পিছু ধেয়ে কিছু করা হবে অসম্ভব ব্যাপার।
তৃতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষে ভারতের লিড ৪৩২ হয়েছে। চতুর্থ ইনিংসে এই রান তাড়া করা অনেকটাই কঠিন। এরপরই বাংলাদেশকে জয়ের পরিকল্পনা করতে হলে ইতিহাস গড়তে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :