তথ্য ও প্রযুক্তি ডেস্ক : বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচনের আগেই মিথ্যা ও ভুল তথ্য ঠেকাতে বিশেষ টিম গঠন করছে মেটা। সম্প্রতি জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তিতে তৈরি হওয়া মিথ্যা ভিডিও, ছবি ও অডিওর মাধ্যমে ভোটারদের ভুল দিকে ধাবিত হওয়া থেকে ফেরাতেই এমন উদ্যোগ বলে জানিয়েছে মেটা।
কিছু মানুষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে গুজব তৈরি করে সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করছে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলির এমন দাবির পরপরই মেটা পক্ষ থেকে এমন সিদ্ধান্ত এলো। এর আগে মেটা বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ভুল তথ্য নিয়ন্ত্রণের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করে।
ইউনির্বাচনের আগে আরেক প্রতিষ্ঠান টিকটক ঘোষণা করেছে নির্বাচনের আগে প্রতিটি সদস্য দেশেই স্থানীয় ভাষায় সত্যিকার তথ্য সরবরাহে নির্বাচন কেন্দ্র খোলা হবে।
মেটার ইইউ বিষয়ক প্রধান মার্কো পানকিনি সম্প্রতি বলেন, ‘ইইউর বিশেষায়িত নির্বাচন কেন্দ্রগুলো সম্ভাব্য ঝুঁকি শনাক্ত এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ২০১৬ সালে আমরা ২ হাজার কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছি কেবল নিরাপত্তাকে চার গুণ বাড়ানোর জন্য। বিশ্বব্যাপী আমাদের ৪০ হাজার মানুষ কাজটিতে নিয়োজিত। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও থ্রেড মিলিয়ে প্রায় ১৫ হাজার কনটেন্ট রিভিউয়ার আছেন। তারা ইইউর ২৪টিসহ মোট ৭০টি ভাষায় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।’
এদিকে গবেষক দিপক পদ্মনাভান বলেণ, এসব পরিকল্পনা কতটুকু বাস্তাবায়ন হয় তা দেখার বিষয়। কারন একটা বিষয় যাচাই-বাছাইয়ে অনেক প্রাসঙ্গিক অনেক কিছু দেখার আছে। মেটা দিন শেষে কতটা সফল, সেখানে সন্দেহ থেকেই যায়।
বর্তমানে কেবল ইউরোপীয় অঞ্চলেই ২৬টি ফ্যাক্ট চেকিং অর্গানাইজেশনের সঙ্গে কাজ করছে মেটা। শিগগিরই বুলগেরিয়া, ফ্রান্স ও স্লোভাকিয়ায় আরো অংশীদার যুক্ত করা হবে। আর সংস্থাগুলোর কাজই থাকবে কেবল মিথ্যা তথ্য ও গুজব শনাক্ত করা, ভুল তথ্য প্রচারকে বন্ধ করা।
আপনার মতামত লিখুন :