ফোনে আড়িপাতায় টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারকে (এনটিএমসি) বিলুপ্ত করার দাবি


Buriganga News প্রকাশের সময় : অগাস্ট ১৮, ২০২৪, ১:১১ অপরাহ্ন /
ফোনে আড়িপাতায় টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারকে (এনটিএমসি) বিলুপ্ত করার দাবি

বুড়িগঙ্গা নিউজ ডেস্ক : মানুষের মৌলিক মানবাধিকার ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে অভিযুক্ত বিতর্কিত সংস্থা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারকে (এনটিএমসি) বিলুপ্ত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

শনিবার (১৭ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এমন দাবি জানায়ে সংগঠনটি।

বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এনটিএমসি মানুষের মৌলিক মানবাধিকার ক্ষুণ্ন করেছে। নাগরিকের মুঠোফোনে আড়িপাতা, ডিভাইস নজরদারিতে রাখা, ফেসবুক-মেসেঞ্জার, এক্স, টেলিগ্রাম, ভাইবার, ইমো ও স্কাইপি এমনকি ওয়েবসাইট ব্লক ও ইমেইলে আড়ি পাতার অভিযোগ উঠেছে। এটি একটি বিতর্কিত টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এ সংস্থার কার্যক্রম সংবিধান পরিপন্থী। সংবিধানের ধারা ৪৩ এর (খ) অনুচ্ছেদে চিঠিপত্র ও যোগাযোগের সব মাধ্যমের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। অথচ ২০১৩ সালে এ সংস্থাটি গঠন করা হয় বিতর্কিত এবং বরখাস্ত হওয়া মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের পরামর্শে। মূলত নাগরিকদের যোগাযোগে আড়িপাতা এবং নজরদারিতে রাখার জন্যই এ সংস্থা গঠন করা হয়েছে। ফোনালাপ রেকর্ড ও ফাঁস, ইন্টারনেট ও বিভিন্ন অ্যাপে আড়িপাতা ছাড়া অন্য কোনো কাজই করেনি সংস্থাটি।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘এনটিএমসি মোবাইল অপারেটরদেরও বাধ্য করেছে গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের মেসেজ পাঠাতে। ফোনালাপ রেকর্ড এমনকি ভিডিও কল রেকর্ড করে অনেক সম্ভ্রান্ত নাগরিককে হেনস্তা করেছে এ প্রতিষ্ঠানটি।’

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তারা ভিক্যাল মাউন্টেন ডাটা ইন্টারসেপ্টর এবং ভিক্যাল মাউন্টেন মোবাইল ইন্টারসেপ্টরের মতো ভয়ানক যন্ত্র ব্যবহার করেছে। এমনকি বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা বিতর্কিত ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কাছ থেকে পেগাসাস স্পাইওয়্যার কেনা হয়েছিল বলেও দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। আমরা আগেই এর প্রতিবাদ করেছিলাম এবং তদন্ত চেয়েছিলাম। যদিও সরকার বলেছিল এ ধরনের যন্ত্রপাতি কেনা হয়নি।

এনটিএমসির বিলুপ্তির দাবিপত্র শিগগিরই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা এবং সংবিধান পরিপন্থী। সেই সঙ্গে মানবাধিকারের লঙ্ঘন। তাই দেশ, জাতি ও সংবিধানকে সমুন্নত রেখে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য এনটিএমসির বিলুপ্তি আবশ্যক। তাই আমরা নাগরিকদের পক্ষ থেকে এবং গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য ও সুরক্ষার স্বার্থে এ সংস্থার বিলুপ্তির জন্য বর্তমান সরকারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেব।’

আমাদের ফেসবুক পেইজ