জোড়া মাথা আলাদা করা রাবেয়া-রোকেয়া কেমন আছে


Buriganga News প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৮, ২০২৪, ৫:২১ অপরাহ্ন /
জোড়া মাথা আলাদা করা রাবেয়া-রোকেয়া কেমন আছে

বুড়িগঙ্গা নিউজ ডেস্ক : মাথা জোড়া লাগানো যমজ শিশু রাবেয়া ও রোকেয়া অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ আছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। এ সময় মন্ত্রী চলমান চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং অস্ত্রোপচারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেন। এর আগে গত ২৪ এপ্রিল তাদের দেখতে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) যান ডা. সামন্ত লাল সেন এবং হাঙ্গেরি থেকে আগত চিকিৎসক দল।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) পরিদর্শন শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পাবনার চাটমোহর উপজেলার রফিকুল ইসলাম ও তাসলিমা বেগম দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় দুই মাথা জোড়া লাগানো যমজ সন্তান রাবেয়া ও রোকেয়া। যাদেরকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় ক্র্যানিওপ্যাগাস টুইনস। মাথা জোড়া লাগানো যমজ শিশু চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং বিকলতা। ২৫ লাখ জীবিত যমজ শিশুর মধ্যে মাত্র একটি জোড়া মাথার শিশু জন্ম নেয়। প্রায় ৪০ শতাংশ জোড়া মাথার শিশু মৃত অবস্থায় জন্ম নেয় এবং আরও এক তৃতীয়াংশ শিশু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মারা যায়। শতকরা প্রায় ২৫ ভাগ শিশু জোড়া মাথা নিয়ে বেঁচে থাকে, যাদের শল্য চিকিৎসার মাধ্যমে আলাদা করার সুযোগ রয়েছে কিন্তু এর সাফল্যের হারও খুব বেশি নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০১৯ সালের ১ আগস্ট ৩৩ ঘণ্টাব্যাপী বিরল এই অপারেশনটি প্রথমবারের মতো ঢাকার সিএমএইচে সম্পন্ন হয়, যা বিশ্বে ১৭তম।

এর আগে একই হাসপাতালে ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি এবং ১৩ মার্চ পুনরায় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিটব্যাপী দুটি অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়। এ অপারেশন দুটির মাধ্যমে তাদের মাথায় বিদ্যমান ক্ষতস্থান নতুন কোষ দ্বারা পূর্ণ করা হয়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে রাবেয়ার মাথার বাম দিকের চামড়ার ক্ষত শুরু হয় এবং পরে তা বেড়ে চামড়ার নিচে লাগানো কৃত্রিম মাথার খুলি দৃশ্যমান হয়। এই জটিলতা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ২০২২ সালের ৭ মার্চ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সিএমএইচে একটি সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেন।

আমাদের ফেসবুক পেইজ