অন্যের দরজা-জানালায় উঁকি দিলে যে গুনাহ হয়


Buriganga News প্রকাশের সময় : জুলাই ৩০, ২০২৪, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন /
অন্যের দরজা-জানালায় উঁকি দিলে যে গুনাহ হয়

বুড়িগঙ্গা নিউজ ডেস্ক : বিশ্বে ইসলাম সব বিবেচনায় শ্রেষ্ঠ ধর্ম। ইসলাম শব্দের সরল অর্থ শান্তি। এতে মানুষের সম্মান, ব্যক্তিত্ব ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষায় বিভিন্ন বিধান দিয়েছে। ঘর-বাড়িতে হঠাৎ কেউ ঢুকে গেলে বা কারো দরজা-জানালা দিয়ে দৃষ্টি দিলে মাহরাম নয়, এমন কোনো পুরুষ বা নারীর ওপর দৃষ্টি পড়তে পারে। এতে দৃষ্টিদানকারী কবিরা গুনাহে লিপ্ত হয়ে যাবে।

ইসলাম অন্যের ঘরে প্রবেশের জন্য অনুমতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বিনা অনুমতিতে অন্যের ঘরে প্রবেশ করা নাজায়েজ। সেই সঙ্গে এটি সাধারণ ভদ্রতা ও শিষ্টাচারপরিপন্থী।মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনরা, তোমরা নিজের গৃহ ছাড়া অন্য কারো গৃহে প্রবেশ কোরো না, যতক্ষণ না তোমরা অনুমতি নেবে এবং গৃহবাসীদের সালাম দেবে। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো।

আর যদি তোমরা সেখানে কাউকে না পাও তাহলে তোমাদের অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত তোমরা সেখানে প্রবেশ কোরো না। আর যদি তোমাদের বলা হয়, ফিরে যাও, তাহলে ফিরে যাবে। এটাই তোমাদের জন্য অধিক পবিত্রতা। তোমরা যা করো আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবগত। ’ (সুরা নুর, আয়াত ২৭-২৮)।

মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনরা, তোমাদের মালিকানাধীন দাস-দাসীরা এবং তোমাদের মধ্যে যারা এখনো সাবালকত্বে পৌঁছেনি সেই শিশুরা যেন তিনটি সময়ে অনুমতি গ্রহণ করে—ফজরের নামাজের আগে, দুপুর বেলা, যখন তোমরা পোশাক খুলে রাখো এবং এশার নামাজের পর। এ তিনটি তোমাদের গোপনীয়তা অবলম্বনের সময়…। ’ (সুরা নুর, আয়াত ৫৮-৫৯)।

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনে এই হাদিসের ওপর আমল করতে দেখা যায়। সাহল ইবনে সাদ (রা.) বলেন, একবার এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কোনো এক কক্ষে উঁকি দেয়। তখন রাসুল (সা.)-এর কাছে একটা ‘মিদরা’ (তথা এক ধরনের চিরুনি) ছিল, যা দিয়ে তিনি তাঁর মাথা চুলকাচ্ছিলেন। তখন তিনি বলেন, যদি আমি জানতাম যে তুমি উঁকি দিচ্ছ, তাহলে এটা দিয়ে তোমার চোখ ফুঁড়ে দিতাম। আর তাকানোর জন্য অনুমতি গ্রহণের বিধান দেওয়া হয়েছে। (বুখারি, হাদিস ৬২৪১)।

আমাদের ফেসবুক পেইজ