মাদারীপুরে অফিস সময়ে ব্যক্তিগত চেম্বারে চিকিৎসক

মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুর জেলা কারাগারে কর্মরত চিকিৎসক ডাঃ অখিল সরকার (কোড নং-১২৪৩১৪) এর বিরুদ্ধে কারাগারের কারাবন্দীদের চিকিৎসা সেবা না দিয়ে অফিস সময়ে ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়টি শহরের লোকজনের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হলেও বিভিন্ন সাংবাদিক ও প্রভাবশালী মহলের সাথে ডাঃ অখিল সরকারের সুস্পর্কের কারনে বিষয়টি এতদিন গোপনই ছিল।
সম্প্রতি অফিস সময়ে তার ব্যক্তিগত চেম্বারে বসে রোগী দেখার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে সচেতন মহলে বেশ আলোচনার ঝড় উঠে। ভাইরাল হওয়া ২ মিনিট ২৪ সেকেন্ডের ঐ ভিডিওতে দেখা যায় ডাঃ অখিল সরকার (কোড নং-১২৪৩১৪) অফিস চলাকালীন সময়ে তার ব্যক্তিগত চেম্বারে বসে রোগী দেখছেন। ওই সময় তাকে জেলখানা ছেড়ে ব্যক্তিগত চেম্বারে বসার কারন জানতে চাইলে তিনি সঠিক কোন জবাব দিতে পারেননি।

এদিকে অনেকেই জানান মাদারীপুরের বিভিন্ন মহলের প্রভাবশালীদের সাথে সম্পর্ক রেখেই এসব করে যাচ্ছেন ডাঃ অখিল সরকার। পাশাপাশি তিনি মাদারীপুরের প্রথম আলো বন্ধুসভার সভাপতি হওয়ায় সাংবাদিকদের সাথে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে অনেকের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছেন।আর এভাবেই তিনি সরকারি চিকিৎসক হওয়া সত্ত্বেও সরকারি কর্তব্য ফাঁকি দিয়ে ব্যক্তিগত চেম্বার করে যাচ্ছেন। মাদারীপুরের সচেতন মহল মনে করেন ডাঃ অখিল সরকার তার কর্মস্থল মাদারীপুর জেলখানায় দুপুর ২ টা পর্যন্ত সময় দেয়ার কথা থাকলেও পকেট ভারি করতে সময় দেন ব্যক্তিগত চেম্বারে।
তাই উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবি জানিয়েছেন মাদারীপুরের সচেতন মহল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কারারক্ষী জানায়, প্রায়ই ডাক্তার মোটরসাইকেল করে এসে কিছুক্ষণ থেকেই দুপুর ২ টার আগেই চলে যান।

এ ব্যাপারে জানতে অফিস টাইমে ডাঃ অখিল সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মাদারীপুর কারাগারের একমাত্র চিকিৎসক হিসেবে তার জন্য নির্ধারিত কোন সময় বেধে দেয়া নেই। সরকার নির্ধারিত অফিস সময়ের বাইরেও অনেক সময় রাতেও তিনি কারাগারে রোগী দেখতে যান।কারাগারের সব রোগী দেখা শেষ করে মাঝে মাঝে তিনি অফিস সময়েও কারাগার থেকে বের হয়ে ব্যক্তিগত চেম্বারে বসেন। তার সুনাম নষ্ট করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এ বিষয়ে মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মুনীর আহমেদ বলেন,বিষয়টি আমার জানা নেই।তবে সরকার নির্ধারিত সময়ে বাইরে রোগী দেখার কোন নিয়ম নেই। যদি সে এমন কাজ করে থাকে,তবে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।